।। বাক্‌ ১১৭ ।। তপেশ দাশগুপ্ত ।।




A Journey By Train In A Full Moon Night



কবিতার জগৎটা বেশ সুন্দর
হঠাৎ হঠাৎ পাতা নড়া দেখতে পাওয়া যায়
দেখে প্রবেশ করি
আবার তার মধ্যেও প্রতিনিয়ত লড়াই
সুতা একটু ছেড়ে গেলেই
বাইরে বেড়িয়ে আসি

শুধু সিগেরেট খাওয়ার লোভে লোভে
কতদূর পাড়ি দিতাম
সময় এক ঘন্টা অন্তর
পথ কত দ্রুত শেষ হয়ে যেত

সবখানে একটা করে খাতা রাখি
যখন যেমন আসে লিখে ফেলি
অফিসে ট্রেনে বাড়ীতে মেসে
লিখে রাখি কেন
না লিখলে কি আরো আনন্দ

প্লাটফর্মটা নড়ে উঠল
দূরে ট্রেন আসছে

ও মা তুমিও নেই সুনন্দা
কোথায় উঠে যাচ্ছ কবিতা

মানুষগুলির মতই
ছাগলগুলি নিরীহ
বসে আছে আচ্ছাদনহীন প্লাটফর্মে

তোমাকে বানিয়েছিলাম
ভেঙে দিচ্ছি
আজমনগর রোডে এসে ভেঙে গেল

হায় রে full moon
ট্রেনের জানলার থেকে
যেতে যেতে

এই চাঁদ আমি ছাড়ছি না
পুরো রাস্তা
চোখে চোখ রেখে যাব
মাঝখানে
তৈরী হতে থাকবে
স্বপ্নময় জগৎ
জলের উপরে
ফাঁকা ধানক্ষেতের উপরে

দিগন্তের থেকে
কাছে চলে আসছে

কিশানগঞ্জের
ফ্লাইওভারের মাথার উপর দিয়ে
চাঁদ

ও চাঁদ
তোকে না লিখে
তোকে বোঝানো যাচ্ছে না

নিজবাড়ীতে (স্টেশনের নাম) আমি এই চাঁদ দেখবই
জানলার কাচ বন্ধ করছি না
কেমন শুয়ে আছে ধানক্ষেত
তার উপরে চাঁদ পড়েছে
ডলে দিচ্ছে
চাঁদের আলোয় সব
নদী নদী হয়ে গেছে
আর বাবার হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া

ও লাইট
চাঁদ নষ্ট কোরো না

চাঁদ নষ্ট করতে পারবে না

শালা লোক নাই নাকি

শুধু ছড়ানো ছিটানো গাছ

আরে আর কত উজ্জ্বল হবি
পৃথিবীর সব দেখে  নিচ্ছি

হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে
হাই টেনশনের টাওয়ার
কাকে তাড়াবি
কাকতাড়ুয়ার মতো লাগছে তোকে

জ্যোৎস্নার মতো পানি পড়ুক
পৃথিবী জুড়ে

কি ছায়া
রেজিমেন্টের মতো

সারিবদ্ধ কি গাছ

আমি জন্মে ফিরে যাচ্ছি

আমার থেকে সমস্ত মাঠ
উঁচু হতে শুরু করেছে

রাত যত বাড়ে
চাঁদ তত উজ্জ্বল হয়

ক্রমে ছায়াগুলি ছোট হয়ে আসছে
ছোট নদী পেড়িয়ে যাচ্ছে
ডুম ডুম জ্যোৎস্নায়



No comments:

Post a Comment