বিপ্লব রায়ের দুটি কবিতা
অবলা
বড়ো বিছানা পেয়েছে বলেই কি
হাত-পা ছড়িয়ে ঘাসেরা শুয়ে থাকে
আমার প্রশ্ন জাগে আরোও
সরু লতারা যেভাবে জড়িয়ে ধরে
সেখান থেকেই কি শাড়ি পরতে শিখেছো তুমি
আমি উপহার ভাবি
ময়ূরের পেখম ফোটার ডাক
সূর্যমুখীর পাঁপড়ি মেলে দেওয়ার অস্তিত্ব
ছুঁয়ে ফেলে ফাল্গুন
ওইদিকে আকাশের হাঁচি , হালকা বৃষ্টি হালকা বাতাস
বাছুরের লোমগুলো কিরকম উল্টে গেছে দেখেছো
চেটে দিয়েছে অবলা মা
যেভাবে ধানক্ষেত চেটে দিয়েছে সেদিনের ঝড়
বোঝাবুঝি
চাকা বলতে বুঝি কেন্নোর স্পর্শ
বা লাঠি পেটানো টায়ার
ফুলের রাজধানী ফুঁটো হয়ে গলে যায়
পিছল ত্রিবেণীর ঘাটে
ভলোরকম আলো
সেভাবে আবিষ্কারের জবা
কিছু তারকার ছোপে
চাঁদনি ফুল ভরে গিয়ে
লজ্জায় ঝাপসা বিঁধুর হাসি
ঘরকেলি সব পতঙ্গ নিদান
গান বাজনা নিশ্চুপ করে শুনছে -
হাতুড়ি আর পেরেকের ঠুকুর ঠুকুর ঝগড়া
নয়নজুলি শেষ হলেই অবিনশ্বর জলের থোকা
কান্নার ছায়া পোহায়
রোদে-জলে কেমন করে
সন্ধ্যাদেবীর নিরামিষ কর্ম সপ্তশ্রী গোবিন্দ সুর
যত্নমোহিনী মাত্র
ঘর বলতে বুঝি চালের টুপি
আর বর বলতে শাদা
বিপ্লব দা দারুন লেখেছো
ReplyDelete'ওইদিকে আকাশের হাঁচি, হালকা বৃষ্টি হালকা বাতাস।'দারুণ...
ReplyDelete