চারটি কবিতা : সমর রায়চৌধুরী
কল্পতরু মিষ্টান্ন ভান্ডার
আমার বাবা ছিলেন একজন মিষ্টান্ন বিক্রেতা
পালা-পার্বণে দোকানে যেন মেলা
ক্যাশবাক্স নিয়ে বাবা
কারিগরদা আর ভেলু ভীড় সামাল দিতে হিমসিম
মিষ্টান্নের মহিমায় আর এই বাড়িঘর, সন্তান সন্ততি
পরিবার প্রতিপালন
তার কাছে আরো ভালো ও রকমারি মিষ্টান্নের প্রত্যাশা সকলের
কিন্তু তিনি বলতেন সব উজাড় করে দিতে নেই
কিছু হাতে রাখা ভালো
বিচক্ষণ, তার শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্নের কথা তাই তিনি কাউকেই
জানাননি,
গোপনে একান্তই তা নিজের জন্য রেখে দিয়েছিলেন
একদিন দোকান উৎখাত হ’লো, ব্যাবসা বন্ধ হয়ে গেল, আর
মিষ্টান্ন বিক্রেতা থেকে তিনি হয়ে গেলেন
হাটে হাটে পটল ও কপি বিক্রেতা, তবুও...
বাবা চলে গেছেন দশ বছর হ’লো,
মা এই সেদিন,
বাবার সদ্য প্রয়াত ‘শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন’র গোপনীয়তার হদিস
পেলাম
মায়ের তোরঙ্গ ঘেঁটে
চোখ
চোখ বসে থাকে সোফায়
শুধু চোখ, প্রকান্ড এক চোখ
শুয়ে থাকে খাটে
দূর থেকে দেখি হেঁটে আসছে চোখ
আপাদমস্তক এক চোখ
অন্ধকার
ঘর ভরা অন্ধকার
লাইট জ্বালতে গেলে
অন্ধকার আঁৎকে ওঠে, বলে –
এই করছ কী ! আলো জ্বেলো
না –
নগ্ন হয়ে আছি
হাওয়া
হাওয়া বয়
তারে শুকাতে দেওয়া শাড়ী
ওড়ে
হাওয়ায় হাওয়ায় তখন
আমিও যেন হাওয়া
হাওয়া
আগেও পড়েছি দাদা , চরম হয়েছে
ReplyDeleteহাওয়া হাওয়া আপাদমস্তক এক চোখ
ReplyDelete'অন্ধকার'
ReplyDeleteনগেন্দ্র নগ্ন হলো। ট্যাগ ও ট্যাবু হয়েছে অন্ধকারে।
ReplyDelete